চাঁদপুরে তিন কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ
কুমিল্লা টিভি ডেস্ক
কুমিল্লা.টিভি
প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে তিন কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণ করার পর সর্বস্ব লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অচেতন মুমূর্ষ অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে চান্দ্রা ইউনিয়ন মদনা গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড বরকন্দাজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কিশোরী তিনজন চান্দ্রা দক্ষিণ মদনা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
নির্যাতিত কিশোরীর মা খাদিজা বেগম জানান, দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যাওয়ার কারণে সেই সুযোগে পাশের ঘরের বাচ্চু মিয়ার বকাটে ছেলে মিলন রবিবার রাতে ঘরে আসে। এ সময় বখাটে মিলন কোকাকোলার ভিতরে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাদেরকে খাওয়ার জন্যে জোর করে।
ঘরের ভিতর দুই মেয়ে ও ভাসুরের মেয়ে সহ ৩ জন নেশা দ্রব্য মেশানো কোকাকোলা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। বখাটে মিলন সুযোগ বুঝে সোমবার ভোর রাতে ঘরের সিঁধ কেটে গর্ত করে ভিতরে ঢুকে তিনজনকে ধর্ষণ করে।
সকালে পাশের বাড়ির লোকজন সিঁধ কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভিতরে ঢুকে অচেতন অবস্থায় তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষণকারী মিলন এলাকা ছেড়ে গা ডাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে মিলনের বাবা জানান, মোবাইল চুরি করার উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরের ভিতরে ঢুকে এ ঘটনাটি করেছে। এই ঘটনার পরে মিলন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চান্দ্রা ইউনিয়ন এর ৪,৫ ৬ নং মহিলা মেম্বারের স্বামী বিল্লাল হোসেন হাসপাতালে এসে ধর্ষিতার মাকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাটি বাড়াবাড়ি না করে স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে দালাল বিল্লাল হোসেন জানান, ঘরের ভিতরে ঢুকে মোবাইল চুরি করে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে এলাকায় বসে সমাধানের চেষ্টা করব। যদি না হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে এ ঘটনাটি যে করেছে সেই ধর্ষণকারীর মিলন সহ তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সচেতন মহল।