গোপালগঞ্জে দাফন হবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর
কুমিল্লা.টিভি
প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ১৪ জুন ২০২০ রবিবার

আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জে দাফন করা হবে। শনিবার রাতে শেখ আব্দুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে নেয়ার পথেই মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
রোববার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র করোনা পরীক্ষার জন্য যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ গোপালগঞ্জে নেয়া হবে। সেখানেই জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
শনিবার রাতে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে দলের পক্ষে থেকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সিএমএইচে নেয়ার পথে অথাৎ জাহাঙ্গীর গেট ক্রোস করার পরে তিনি মারা গেছেন বলে আমরা জানতে পারি। ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর করোনা টেস্ট করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট দেবে রোববার সকাল ১১টার দিকে।
রোববার সকালে শেখ মো. আব্দুল্লাহ করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন।
জানা গেছে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ গোপালগঞ্জে নেয়া হবে। সেখানেই জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ মো. আব্দুল্লাহ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের সময় আবদুল্লাহকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন সরকার প্রধান। শেখ আব্দুল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ মে তার নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) উন্নয়নে প্রতিনিধির দায়িত্ব দেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা আলহাজ মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শেখ আব্দুল্লাহ। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ সেবা করার লক্ষ্যে চাকরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।